ইন্টারভিউ বিষয়ক আমাদের পূর্ববর্তী ব্লগপোস্টে আমরা জেনেছিলাম ড্রিম জব পেতে হলে আমাদের বাধা হলো শুধু ইন্টারভিউ এবং সিভি। এদের মধ্যে সিভির গুরুত্বই বেশি, কারণ সিভি দেখে পছন্দ হলে তবেই না ইন্টারভিউয়ে ডাক আসে! আজকের ব্লগে আমরা এই বিষয়গুলো সম্পর্কেই জানবো, সিভি কী, সিভি আর রেজুমে কি একই? না হলে কোথায় পার্থক্য এসব দেখবো। সাথে আলোচনায় আসবে সিভি লেখার কিছু নিয়ম, কিছু উপকারী টিপস, সিভির ফরম্যাট, এবং শেষমেশ একটি আদর্শ সিভি কেমন হতে পারে তার হাতে-কলমে উদাহরণ। তবে আর দেরি কেন, চলুন শুরু করা যাক!
সিভি
সিভি (CV) তথা Curriculum Vitae (কারিকুলাম ভাইটা), ল্যাটিনে যার অর্থ দাঁড়ায় Course of Life. আমেরিকান বা ব্রিটিশ দুই ইংরেজিতেই সিভি শব্দটির ব্যবহার রয়েছে। কোনো ব্যক্তির জীবনের শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত দক্ষতা এবং এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজের বিবরণ সংক্ষেপে দেয়া থাকে সিভিতে। কর্পোরেট জগতে সিভি বলতে সাধারণত যা বোঝানো হয় তা আবার অ্যাকাডেমিয়ার সিভি থেকে আলাদা। অ্যাকাডেমিয়ার জগতে সিভি বলতে হেভি এক্সটেনসিভ সিভিগুলো বুঝায়, যা অনেক বড় হয়; এমনকি ৬৯ পৃষ্ঠাও হতে পারে!
এতে অন্য সবের পাশাপাশি পাবলিকেশনে ফোকাস করা হয়, যা অ্যাকাডেমিয়াতে আবেদন করতে গেলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এমন একটি উদাহরণ দেখে আসতে পারেন এখান থেকে। আর চাকরির বাজারে সিভি দিয়ে বোঝায় শর্ট সিভি যা সাধারণত দুই পৃষ্ঠার হয়ে থাকে। যাতে সংক্ষেপে মোটামুটি চাকরি-প্রার্থীর একটি ওভারভিউ দেয়া হয়ে থাকে।
সিভি নাকি রেজুমে?
সিভি আর রেজুমে, এই দুইটি নিয়ে আমরা প্রায়শই বিপত্তিতে পড়ি। এই দুইটির মধ্যে সুনির্দিষ্ট পার্থক্য পরিষ্কার করে জানা থাকলে আর বিপাকে পড়তে হবে না আশা করি। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার তথ্যমতে, Résumé মূলত ফরাসি শব্দ Résumer থেকে এসেছে, যা বুঝায় “to summarize,” অর্থাৎ সিভি আর রেজুমের মূল পার্থক্য এর সাইজে তথা আকারে। আবার ইন্ডাস্ট্রিভেদে শব্দ দুইটি দুই অর্থ প্রকাশ করে থাকে। যেমন, চাকরির ক্ষেত্রে রেজুমে ব্যবহৃত হয় বেশি, আবার অ্যাকাডেমিয়াতে সিভি শব্দটির চল বেশি।
যদিও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে- আমেরিকা, কানাডায় এই দুইটি অদল বদল করে ব্যবহৃত হয়। এখানে সিভি বলতে শর্ট সিভিকে বুঝায়, যা চাকরির জগতে, কর্পোরেট জগতেও সমানতালে ইউজ হয়। এমনটাই জানা যায়, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার (ডেভিস) বরাতে। আমরা উদ্দিষ্ট নিবন্ধে সিভি বলতে কর্পোরেট জগতে চাকরির আবেদনের সময় যে সিভি তৈরি করতে হয়, সেটিকেই বোঝাব। সিভি আর রেজুমের পার্থক্য বিষয়ে আরও জানতে আমাদের এই ব্লগটি পড়ে ফেলুন!

সিভি লেখার কিছু গাইডলাইন
- প্রথমেই দেখে নিতে হবে, যেখানে অ্যাপ্লাই করছেন সেখানে আদতে কী চেয়েছে। অনেকসময়ই এমন হয় যে, চেয়েছে রেজুমে আর আপনি পাঠিয়ে দিলেন সিভি! অথবা ঘটলো উল্টোটা। এমন যাতে না হয় সেজন্য, সিভি বনাম রেজুমে ঠিক করে নিশ্চিত হয়ে পাঠান।
- সিভি ঠিক ফরম্যাটে লিখতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা সিভির ফরম্যাট সেকশনে সবিস্তারে জানবো, তবে সংক্ষেপে বলতে- সাব সেকশনগুলো ঠিকভাবে লিখতে হবে। যেমন প্রথমে হেডার, সেখানে কন্টাক্ট ডিটেইলস, তারপর পার্সোনাল প্রোফাইল শুরু। সেখানে সিভির অবজেক্টিভ/সামারি, এরপর চাকরির পূর্ব অভিজ্ঞতা, পড়াশোনা, স্কিল এবং অন্যান্য বিষয়াদি ঠিকঠাকভাবে দিতে হবে। এর মধ্যেই পড়বে- সঠিক ফন্ট বাছাই করা, লে-আউট ঠিক রাখা, অযথা অনেক বেশি ছবি না দেওয়া, অতিরিক্ত তথ্য দেওয়ার বদলে সুনির্দিষ্ট এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য দেয়া ইত্যাদি।
- কন্টাক্ট ইনফরমেশন সঠিকভাবে লিখতে হবে। পুরো নাম, প্রফেশনাল টাইটেল, ইমেইল, মোবাইল নাম্বার, লিঙ্কডইন এবং হোম অ্যাড্রেস দিতে হবে ঠিকভাবে। অনেকেই এখানে সামান্য ভুল করেন, সিকুয়েন্স ঠিক রাখেন না। এখানের সিকুয়েন্সটাও কিন্তু সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নামের আগেই যেমন লিঙ্কডইন আসবে না, তেমনি মোবাইল নাম্বারও কিন্তু লিঙ্কডইনের পরে যাবে না।
- সিভির অবজেক্টিভ/ সামারি ঠিকঠাক মত লিখতে হবে। সামারি বা অবজেক্টিভ কী? নামের সাথেই কাজের পরিচয়। আপনার ক্যারিয়ারে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী এ ব্যাপারে গুছিয়ে লিখুন, এটাই অবজেক্টিভ। আর আপনি যদি ইতোমধ্যেই অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন, তবে সেই অভিজ্ঞতাটুকু সংক্ষেপে তুলে ধরাটা সামারি। কিন্তু এটা আবার এক লাইনে নামে মাত্র লিখে দিলেই হবে না, সাধারণত বলা হয় ১০০ শব্দে নাতিদীর্ঘ অথচ সারমর্মপূর্ণ প্যারাগ্রাফে লিখতে হবে।
- প্রাসঙ্গিক চাকরি বা কাজের অভিজ্ঞতা এবং কী-অ্যাচিভমেন্ট দিতে হবে। খুব ব্যতিক্রম ছাড়া এটাই সিভির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এখানে আপনার পূর্ববর্তী সকল কর্মস্থলের কাজের এবং অর্জনের বিবরণ দেবেন। কিন্তু থামুন, একটু ভাবুন; বাকি প্রতিযোগীরাও তো এমনটাই করবেন, তাহলে আপনাকে আলাদা করে তুলবে কীসে? উপস্থাপনা দ্বারা নিজেকে স্বতন্ত্র করে পরীক্ষকদের কাছে তুলে ধরতে হবে আপনারই। সবসময় মেজারেবল অর্থাৎ পরিমাপ করা যায়, এমন অর্জনগুলো হাইলাইট করে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন। আর কী করেছেন তার থেকে বেশি গুরুত্ব যেন পায় কতটা সুচারুভাবে কাজগুলো আপনি করেছেন, আর তার ইমপ্যাক্টটা কতটুকু ছিল। আর সেই নিরিখে বর্তমান কোম্পানিকে আপনি কী কী অফার করতে পারবেন। সবকিছু ব্যাটে বলে মিলে গেলেই না, ইন্টারভিউয়াররা বলে উঠবে এই লোককেই তো আমাদের চাই!
- শিক্ষাগত যোগ্যতাও সুন্দর করে দিতে হবে। নিজের পড়াশুনার বিবরণ ঠিক না হলে সেই প্রার্থীকে কেই বা নিতে চাইবে বলুন! তবে সুখবর হলো এই অংশটা বাকিগুলোর থেকে সহজতর। ডিগ্রির সাল, তারপর ডিগ্রির নাম, বিষয় এবং প্রতিষ্ঠানের নাম। অনার্স করে থাকলে সেটিও দিতে পারেন (অপশনাল)। একটু হ্যাক বলে নিই, যদি আপনার প্রথম চাকরির আবেদন করতে যান, আর একদম ফ্রেশার হয়ে থাকেন অর্থাৎ অন্য কোনো জব এক্সপেরিয়েন্স নেই, সেক্ষেত্রে পড়াশোনার অংশটাই সিভিতে শক্তপোক্ত করে দিতে পারেন। পড়াকালীন কোনো এক্সট্রা-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ, এক্সট্রা ডিসিপ্লিন, কোর্স বা ক্লাবিং এর অভিজ্ঞতাগুলো যোগ করা যেতে পারে। এতে আপনার দক্ষতাগুলো এবং কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তারা ভালো ধারণা পাবে।
- চাকরির পোস্টের সাথে প্রাসঙ্গিক স্কিলগুলো দিতে হবে। একবিংশ শতকে এসে নিশ্চয়ই এই স্কিল বিষয়টার গুরুত্ব নতুন করে বলে দিতে হবে না। তবে এই স্কিল সেকশনে যা মাথায় রাখতে হবে, তা হলো রিলেভেন্স বা প্রাসঙ্গিকতা। যেখানে অ্যাপ্লাই করছেন সেখানকার জবের সাথে যে দক্ষতাটা যায়, খাপ খায় সেটিই দিন। নচেৎ আপনার একটা কোর্সেরা বা ইউডেমি সার্টিফিকেট থাকলেই যে সেটি ঢুকিয়ে দিতে হবে তা কিন্তু নয়। এজন্যই জব ডেসক্রিপশন পড়া এত জরুরি। সবথেকে ভালো হয়, একটা স্প্রেডশিটে নিজের সব স্কিলগুলো নোট ডাউন করে ফেলুন, এতে খুঁজে পেতে সুবিধা হবে, আর নির্বাচন করতেও।
সিভির ফরম্যাট
নিবন্ধের এই অনুচ্ছদে আমরা সিভির ফরম্যাটিং সম্পর্কে খুব খুঁটিনাটি পর্যায়ে আলাপ সারবো। সরাসরি কথায় প্রবেশ করি, মার্জিন কম রাখুন। গুগল ডক বা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড যেটাতেই সিভি লিখুন, খেয়াল করলে দেখবেন মার্জিন কিন্তু কাস্টমাইজেশন করে নেয়া যায়। যদি আপনার তথ্য বেশ ভালো পরিমাণে হয়, এবং মার্জিন দরকারের অতিরিক্ত বড় দেয়া থাকে বাই ডিফল্ট, সেক্ষেত্রে কমিয়ে ফেলুন। কারণ, আমরা সবাই জানি সিভি সচরাচর ২ পৃষ্ঠা হয়ে থাকে, এরপর প্রতি ১০ বছরের অভিজ্ঞতার দ্বারা ১ পৃষ্ঠা করে বাড়ে। তাই অযথা জায়গা খরচের মানে নেই।
ব্যক্তিগত কন্টাক্ট ডিটেইলস প্রয়োজনের অতিরিক্ত দেয়ার দরকার নেই। এতে জায়গা বেশি লাগে এবং কাজের জিনিস দেয়ার জায়গা থাকে না। এর উদাহরণ ধরুন, আপনার নিজের, বাসার, এবং অফিসের সেলফোন নম্বর দিলেন, বা একাধিক মেইল দিলেন যার দরকার নেই বলতে গেলে। একটা দেয়াই যথেষ্ট। সেকশনগুলো ভালো করে আলাদা করুন। দেখে যেন বোঝা যায়, এগুলো আলাদা আলাদা সাব-সেকশন। হেডিংগুলো একটু বড় দিন, সাধারণ লেখার তুলনায়। অবশ্যই ফ্ল্যাশি, স্পোর্টি ফন্ট অ্যাভয়েড করুন, সাদামাটা ফর্মাল ফন্ট ব্যবহার করুন, যেমন টাইমস নিউ রোমান, বা কন্সটানশিয়া বা এরিয়ালই রাখতে পারেন।
বিশাল প্যারাগ্রাফের বদলে সংক্ষেপে মূলকথা লিখুন, সম্ভব হলে বুলেট পয়েন্টে। বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করুন পূর্বের জব অভিজ্ঞতার কথা বলার সময়। আগের চাকরির দায়িত্বগুলো পয়েন্ট করে করে লিখুন, গদ্য করে লেখার বদলে। এক পৃষ্ঠা থেকে অন্য পৃষ্ঠার ট্রানজিশন যাতে মসৃণ হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। কোনো পৃষ্ঠায় যে পয়েন্ট শুরু করেছেন, তা সেখানেই শেষ করুন। অর্ধেক লিখে বাকি অর্ধেকের জন্য পরের পৃষ্ঠায় যাবেন না। এগুলো দৃষ্টিকটু। আর ভুলেও বানান ভুল করা যাবে না, টাইপো একদম যেন না হয়। একটা বানান ভুল, আর আপনার চাকরি না পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে শতের কাছাকাছি চলে যাওয়া!
মনে রাখবেন, সিভির ফরম্যাট ভালো হলেই তা পড়ে দেখার চান্স বাড়ে। সেই সাথে বাড়ে ইন্টারভিউ কলে ডাক পাবার সম্ভাবনাও। তাই সিভি নিজ ডিভাইসে সেইভ করুন ডক ফাইল হিসেবে। কারণ প্রতি সেমিস্টারে (অথবা চাকরিজীবীদের জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কাজের সুবাদে কিছুদিন পরপর) তো আপডেট হবে সেটি। ফাইলের নামটা ঠিক করে লিখুন। মাই সিভি ডট ডক এজাতীয় নাম বাদ দিতে হবে আজ থেকেই। এই নাম দেখলে স্বভাবতই রিক্রুটারদের আগ্রহ কমে যাবে আপনার প্রতি। নাম হবে নিজের নাম স্ল্যাশ বা আন্ডারস্কোর সিভি ডট পিডিএফ। আর হ্যাঁ, সিভিটা তাদের পাঠাবেন পিডিএফ হিসেবে। এক্ষেত্রে কিন্তু ডক নয়।

সিভি টিপস
আসলে সিভির ফরম্যাটিং বলি আর গাইডলাইন বলি উপরের পয়েন্ট দুটোতেই টিপস যা দেয়ার তা ইতোমধ্যেই দেয়া হয়ে গেছে। তবুও ছোট করে কিছু টোটকা বলে রাখি এ পর্যায়ে এসে। মনোযোগ দিয়ে যে প্রতিষ্ঠানে আবেদন করছেন সেখানের সম্পর্কে রিসার্চ/স্টাডি করুন। সেখানের কালচারের সাথে কিছুটা সামঞ্জস্য কিন্তু রাখতে হবে সিভিতেও। আবার কিছু ভোকাবুলারিগত দক্ষতা রাখতে হবে আপনাকে, এটি বাকি আর দশটা সিভি থেকে এগিয়ে রাখবে আপনার সিভিকে। আর সিভিতে প্রদত্ত তথ্যে কোনো অস্পষ্টতা রাখা যাবে না।
সিভি সুস্পষ্ট হতে হবে, আর হতে হবে নাতিদীর্ঘ। শেষমেশ রিলেভেন্সি থাকতে হবে, অপ্রাসঙ্গিক কিছু থাকা যাবে না সিভিতে। পরীক্ষকদের কাছে দিনে শতশত, কখনও বা হাজারে হাজার সিভি আসে। সেসবের মাঝে যাতে আপনারটা নজরে আসে, সেজন্য চোখে পড়ার মতো করে লিখতে হবে। আর এক সিভি সবাইকে না পাঠিয়ে টার্গেট অর্গানাইজেশন অনুযায়ী এডিট করে ফাইন টিউন করে পাঠাবেন, এতে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
চাকরির আবেদন
আর সুন্দর করে সিভি সাজিয়ে ঘরে বসিয়ে রেখে তো লাভ নেই। দেশ-বিদেশের কোম্পানিগুলোতে আবেদন করতে থাকুন। আর মনে রাখতে হবে গত অনুচ্ছদে বলা শেষ কথাটা, সব অর্গানাইজেশনে একই সিভি না পাঠানোই ভালো। প্রতিষ্ঠানভিত্তিক এডিট করে কাস্টমাইজড সিভি পাঠাতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে এই নিবন্ধেই একটি নমুনা সিভি দেয়া থাকলো, সেটি থেকে ধারণা নিতে পারবেন। তাহলে আর দেরি না করে, নিজের সিভিটি প্রস্তুত করে ফেলুন। আর নানান প্রতিষ্ঠানে আবেদনের মাধ্যমে কর্পোরেট জগতকে নিজের আগমনধ্বনি জানিয়ে দিন সদর্পে!
নমুনা সিভি
একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের নমুনা সিভি: (বাম পাশে প্রথম পৃষ্ঠা, ডান পাশে দ্বিতীয়)
[উল্লেখ্য, এখানে শুধু কন্টেন্ট দেয়া আছে, চাইলে হালকা ডিজাইন নিজেরা করে নিতে পারবেন]

References:
- How to Write a Curriculum Vitae (CV) for a Job Application, Zety Blog.
- 7 CV format tips that will get you more interviews, StandOut CV.
- CV Tips | 7 Tips On Writing That Perfect CV, Career Improvement Club.